মুনজেরিনকে বিয়ে করার কারণ জানালেন আয়মান

ayman

বর্তমান সময়ের দুই জনপ্রিয় তারকা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন শিক্ষাদান প্রতিষ্ঠান ১০ মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক ও একই প্রতিষ্ঠানের ইংরেজি শিক্ষিকা মুনজেরিন শহীদ। তাদের মন দেয়া-নেয়ার বিষয়টি সবাই টুকটাক জানলেও বিয়ের মাধ্যমে তারা প্রেমের পরিণতি ঘটান। অনেকের মনেই প্রশ্ন কোন গুণটা দেখে আয়মান মুনজেরিনকে পছন্দ করেন? আবার উল্টোটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে কারও কারও। এবার বিষয়গুলো খোলাসা করেন তারকা দম্পতি।

গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসের মসজিদে পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিতে আকদ সম্পন্ন করেন এই জুটি। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর সেনাকুঞ্জের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয় তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার। বিয়ে, গায়ে হলুদ এবং বিবাহোত্তর সংবর্ধনার অনুষ্ঠানে আয়মান-মুনজেরিনে রুপসজ্জাসহ পুরো আয়োজনের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।


কীভাবে হলো তাদের প্রেম, কে কাকে প্রথম ভালোবাসি বলেছিলেন তা জানতে অনেক বেশি আগ্রহ নেটিজেনদের। এসব বিষয় নিয়ে সম্প্রতি দেশের অন্যতম একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আয়মান-মুনজেরিন দম্পতি।


আয়মান ও মুনজেরিন বলেন, তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল ২০১৪ সালে। তখন যাত্রা শুরু করেছে টেন মিনিট স্কুল। মাত্র ৯ জন নিয়ে চলছিল। মুনজেরিন ছিলেন তাদেরই একজন।


আয়মানকে দেখে মুনজেরিন কী ভেবেছিলেন? এই প্রশ্নে মুনজেরিন বলেন, ছেলেটা খুব মেধাবী ও পরিশ্রমী। সব সময় তার মাথার ভেতর কিছু একটা চলছে। ডিজাইন করেন। অংক ভালো জানেন।


তেমনি একই প্রশ্ন আসে আয়মানের বেলাতেও, তিনি বলেন, ‘মুনজেরিন সম্পর্কে তার ধারণা হয়েছিল, সে অংক ভালো পারে না। ফার্স্ট ইমপ্রেশন তার এটাই ছিল। তবে ইংরেজিটা ভালো পারে। আমি আবার ইংরেজি ভালো পারি না।’


আয়মানের ভাষায়, মুনজেরিন অনেক পড়ুয়া, পরিশ্রমী আর খুবই শান্তশিষ্ট। অন্যদিকে, আয়মান মোটেও ঝগড়া করতে পারেন না। তাই এ রকম একটা শান্তিপ্রিয় মানুষ জীবনসঙ্গী হিসেবে খারাপ নয়!


মুনজেরিন আয়মানের উদ্দেশে বলেন, ‘আয়মান এমনই একজন মানুষ যে শত্রুরও অমঙ্গল চেয়েছে এমনটা আমি দেখিনি। একজন বড় ক্ষতি করে চলে গেল, ও চুপ থেকেছে। তার সম্পর্কে কোনো খারাপ কথা বলেনি। উল্টো সুযোগ পেলে আবার তার পাশে দাঁড়িয়েছে। ও সব সময় সবার ভালো চায়। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে অন্যের পাশে থাকে।’


বিয়ের আয়োজন নিয়ে মুনজেরিন বলেন, ‘আমরা দুজনে বিয়ের কাজের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়েছিলাম। লজিস্টিকস, নিরাপত্তা, আয়োজন—এগুলো আয়মান দেখেছে। আমি কী পোশাক পরব, কোথায় কীভাবে ছবি তুলব, এগুলো দেখেছি। আমি চেয়েছি, আমরা যেমন দেখতে, তেমনই যেন লাগে। মেকআপ যেটুকু না হলেই নয়।’


আয়মান বলেন, ‘আমি তো বিয়ের আয়োজনের তিন দিনের কোনো দিনই কোনো মেকআপ করিনি। জিরো মেকআপ। আমার বিয়ের পাঞ্জাবির দাম তিন হাজার টাকা। বিয়ে করতে গিয়ে দেখি, আমার কাছের আরেক বন্ধু একই পাঞ্জাবি পরে অনুষ্ঠানে এসেছে। গায়েহলুদে যে সিল্কের পাঞ্জাবি পরেছিলাম, তার দাম সাড়ে তিন হাজার টাকা।’


গত ২৬ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত “ইয়ার অন টিকটক-২০২৩” অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। বর্ষসেরা ক্রিয়েটরের পুরস্কার পেয়েছেন আয়মান সাদিক ও মুনজেরিন শহীদ দম্পতি। ভিডিও নির্মাতাদের বিভিন্ন শ্রেণিতে “ইয়ার অন টিকটক-২০২৩” পুরস্কার দেয়া হয়। “ক্রিয়েটর অব দ্য ইয়ার ২০২৩” পুরস্কার পেয়েছেন টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক। এডুকেশন বা শিক্ষণীয় ভিডিও শ্রেণিতে পুরস্কার জিতেছেন মুনজেরিন শহীদ।

Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

উপরে