কক্সবাজার থেকে পেটের মধ্যে ৩৮ পোঁটলা ইয়াবা নিয়ে গাজীপুরে আসা এক রোহিঙ্গা যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৭–এর বাসিন্দা ফয়জুল ইসলাম (৩৩) দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার থেকে গাজীপুরে ইয়াবা বড়ি পরিবহন করে আসছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গাজীপুরের গাছা থানাধীন শরিফপুর এলাকা থেকে গতকাল শুক্রবার দুপুরে ফয়জুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ফয়জুলের পাশাপাশি নাজমুল মৃধা নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করে গাছা থানায় মামলা হয়েছে। পলাতক নাজমুল শরিফপুর (সোন্ডা) রড মিল রোড এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাঁচ হাজারটি ইয়াবাসহ ফয়জুলকে আটক করা হয়। গাজীপুর মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ কামাল হোসেন আজ শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার সুবীর কুমার শাহা প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুরে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রথমে ফয়জুলকে আটক করা হয়। কিন্তু তাঁর কাছে ওই সময় কোনো মাদক পাওয়া যায়নি। পরে ঘরে তল্লাশি করে টয়লেট থেকে ২ হাজার ৭২০টি ইয়াবা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ফয়জুল শুধু বলছিলেন, ‘আয় নও জানি, আয় নও বুঝি।’ এই ভাষা থেকে সন্দেহ হয় তিনি রোহিঙ্গা। পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাঁর আচরণ সন্দেহজনক ও পেট ফোলা মনে হয়। এরপর পরীক্ষা করে জানা যায়, পেটে ইয়াবা রয়েছে। পরে তিনি নিজের পায়ুপথ দিয়ে এক এক করে ৩৮টি প্যাকেট বের করেন। প্রতিটি প্যাকেটে ৬০টি করে ইয়াবা ছিল।
উপকমিশনার মুহাম্মদ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ফয়জুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি কক্সবাজার থেকে টঙ্গীতে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা বড়ি পরিবহন করে আসছিলেন। তিনি মূলত ইয়াবা তাঁর পেটে বহন করেন। ৬০টি করে ইয়াবার ছোট ছোট পোঁটলা করে গিলে বহন করে নিয়ে আসেন। পরে বাথরুমে গিয়ে ইয়াবার পোঁটলা বের করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পলাতক আসামি নাজমুলের বাসা তল্লাশিকালে রোহিঙ্গা ফয়জুল ইসলামের বহন করা ইয়াবাসহ পাঁচ হাজারটি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের পেশাদার মাদক (ইয়াবা) বহনকারী ও ব্যবসায়ী। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এভাবে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা বিক্রি করে আসছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে গাছা থানায় মামলা হয়েছে।