গেল ঈদে প্রচারিত হয়েছে অনেকগুলো নাটক। এর মধ্যে দুটি নাটকে অভিনয় করে আলোচনায় বর্তমান সময়ের টেলিভিশন অভিনেত্রী পারসা ইভানা। নাটক দুটির নাম ‘শেষমেশ’ ও ‘সন্ধ্যা ৭টা’। এই নাটক দুটি দর্শকদের মাঝে সাড়া ফেলেছে। ইউটিউবে শেষমেশ নাটকটি এরই মধ্যে ১৩ মিলিয়নের মাইলফলক ছুঁয়েছে। এই নাটকে অভিনয় করে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত ছোট পর্দার এই অভিনেত্রী। নাটকটিতে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়ে ইভানা বলেছেন আর কখনো অভিনয় করতে না পারলেও আফসোস থাকবে না। কেন এই কথা বলেছেন এবং অভিনয় নিয়ে কথা বলেছেন বেসরকারি টেলিভিশন মাছরাঙার বিনোদন সারা দিনের সঙ্গে।
এবারের ঈদ একজন অভিনেত্রীর কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ—প্রশ্নের জবাবে ইভানা বলেন, ‘অনেক বেশি স্পেশাল ছিল কারণ শেষমেশ এবং সন্ধ্যা ৭টা এত দারুণ রেসপন্স দিয়েছে, যেগুলো আসলে কল্পনারও বাইরে। অভিনয়ের দিক থেকে বলতে যাই একদম এক শতে এক শ।’
‘শেষমেশ’ নাটকের অভিনয় করেছেন জিয়াউল হক পলাশ ও পারসা ইভানা
‘শেষমেশ’ এবারের ঈদে সবচেয়ে সেরাদের প্রথমে আছে, কেন এতটা জনপ্রিয় হলো নাটকটি—উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, অমি ভাই সব সময় যে ধরনের নাটক বানান, ওটার থেকে একটু আলাদা ছিল গল্পটা। যেহেতু একটা মা আর ছেলের গল্প ছিল। আমার কাছে মনে হয় এ জন্যই দর্শক এতটা পছন্দ করেছে এবং দর্শক অনেক বেশি বাস্তব জীবনের সঙ্গে নাটকটাকে রিলেট করতে পেরেছে নাটকটার সঙ্গে। আমার কাছে মনে হয় এই কারণেই এতটা সাড়া।’
‘সন্ধ্যা ৭টা’ নাটকের দৃশ্যে পারসা ইভানা
নাটকটি করার পর আর কখনো অভিনয় করতে না পারলেও আফসোস থাকবে না, ‘এমন কথা কেন বলেছেন ইভানা? এর জবাবে অভিনেত্রীর ভাষ্য, নাটকটির দর্শকপ্রিয়তা দেখে আমি অনেক উচ্ছ্বসিত ও আবেগাপ্লুত। আমাকে নিয়ে এত মানুষ এত ইতিবাচক কথাবার্তা লিখছে ফেসবুক-সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ রকম কথাও লিখেছে যে, পরের জেনারেশনকে বলতে পারব আমাদের জেনারেশনে একজন পারসা ইভানা ছিল। আমার এখনো গুজবাম্পস হচ্ছে। এটা আমার জন্য বড় একটি ব্যাপার। সে জন্য বলেছি, আর কখনো অভিনয় করতে না পারলেও আফসোস থাকবে না। অভিনয় করতে গিয়েই আমি অনেক ইমোশনাল হয়ে গেছি। অনেক সময় মনের অজান্তেই ইমোশনাল হয়ে গেছি।
পারসা ইভানা ।
‘জিয়াউল হক পলাশের ‘সন্ধ্যা ৭টা’ নাটকেও খুব ভালো সাড়া পেয়েছি। আমাকে আলাদাভাবে দেখানো হয়েছে। শেষ দৃশ্যের জন্য অনেক বেশি প্রশংসা পাচ্ছি। নাটকের গানও রিলিজ হয়েছে। খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। বন্ধু পরিচালক পলাশ আর অভিনেতা পলাশের মধ্যে মিল নেই। পরিচালক হিসেবে সে খুব শান্ত। কিন্তু অভিনেতা পলাশ খুব মজা করতে ভালোবাসে।’