আসিয়ানে ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশের

 মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশ উদীয়মান খাতগুলোতে ফিলিপাইনের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় বাংলাদেশ-ফিলিপাইন পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক পরামর্শ (এফপিসি) সভায় বাংলাদেশ এ আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করে। 

ছয় বছর পর এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরামর্শ সভা যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব ও পশ্চিম) ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র দপ্তরের নীতি বিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি মা. হেলেন বি. ডে লা ভেগা। 

মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উভয় পক্ষ সবশেষ এফপিসি সভার পর থেকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সুনীল অর্থনীতি, শিক্ষা, সাইবার নিরাপত্তা, দক্ষতা উন্নয়ন, সংস্কৃতি এবং প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণ বিনিময়সহ সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন।

এছাড়া তারা শ্রমের গতিশীলতা ও অভিবাসন ব্যবস্থাপনা নিয়েও মতবিনিময় করেন।

উভয় দেশের প্রতিনিধিরা সভায় পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও বহু পক্ষীয় ইস্যুগুলো নিয়েও আলোচনা করেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের (এফডিএমএন) পরিস্থিতি।

পরামর্শ সভা শেষে দু’দেশের মধ্যে ১৯৭৮ সালের এসটিসিডব্লিউ কনভেনশন (সংশোধিত) অনুযায়ী রিকগনিশান অব সার্টিফিকেটের আলোকে সামুদ্রিক সহযোগিতা বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং ফিলিপাইনের পক্ষে মেরিটাইম ইন্ডাস্ট্রি অথরিটি (মারিনা)-এর প্রশাসক সোনিয়া বি. মালালুয়ান।

পরে ড. নজরুল ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মা. তেরেসা পি. লাজারো এবং অভিবাসী শ্রমিক বিষয়ক মন্ত্রী হ্যান্স লিও জে. কাকডাকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এ সংলাপ আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও ফিলিপাইন সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে উভয় পক্ষ।

Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

উপরে