৪১তম বিসিএস ও ৪৩তম বিসিএসের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এই দুই বিসিএসেই চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে ঢাকা বিভাগ। আর পিছিয়ে আছে সিলেট বিভাগ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগ। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ২০২৩ সালের যে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে এই চিত্র দেখা গেছে।
পিএসসির প্রতিবেদন বলছে, ৪১তম বিসিএসে ঢাকা বিভাগ থেকে চাকরি পেয়েছেন প্রায় ২১ ভাগ প্রার্থী। এরপরে রয়েছে চট্টগ্রামের প্রার্থীরা। তাঁদের চাকরি হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৮ শতাংশ। রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ থেকে চাকরির হার প্রায় ১৫ শতাংশ হলেও রাজশাহী সামান্য এগিয়ে আছে। রংপুর বিভাগ থেকে ১৩ শতাংশ, ময়মনসিংহ থেকে সাড়ে ৯ শতাংশ। কমের দিকে আছে বরিশালে ৫ দশমিক ১৭ ভাগ এবং সবচেয়ে কম সিলেটে—সাড়ে তিন ভাগের একটু বেশি।
একইভাবে ৪৩তম বিসিএসে ঢাকা বিভাগ থেকে চাকরি পেয়েছেন প্রায় ২২ ভাগ প্রার্থী। এরপরে রয়েছে চট্টগ্রামের প্রার্থীরা। তাঁদের চাকরি হয়েছে ১৭ শতাংশ। রাজশাহীতে প্রায় ১৫ শতাংশ ও খুলনা বিভাগ থেকে চাকরির হার সাড়ে ১৩ শতাংশের একটু বেশি। রংপুর বিভাগ থেকে ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ময়মনসিংহ থেকে ১০ শতাংশ। এখানেও কমের দিকে আছে বরিশালে প্রায় ৭ ভাগ এবং সবচেয়ে কম সিলেটে—২১ দশমিক ৩১ শতাংশ।
দুই বিসিএসের তুলনা করলে দেখা যায়, দুই বিসিএসের মধ্যে ৪৩তম বিসিএসে সিলেটে আরও কমেছে। বরিশালে কিছুটা বেড়েছে। ময়মনসিংহ আর রংপুরে কিছুটা বেড়েছে। আর ঢাকায় বেড়েছে, কমেছে চট্টগ্রামে। ৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হলেও এখনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। এটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। মাঠপর্যায় থেকে বিভিন্ন প্রতিবেদন নেওয়ার কাজ চলমান বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে ৪৩তম বিসিএসে ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। সিদ্ধান্ত অনুসারে ২ হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে ও ৬৪২ জনকে নন-ক্যাডার পদে মোট ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর। সেই হিসাবে সাড়ে তিন বছর চলে গেলেও আটকে আছে চূড়ান্ত নিয়োগের কার্যক্রম। এই বিসিএসে ২ হাজার ১৬৩ ক্যাডার পদের সর্বোচ্চ ৮০৩ জনকে সরকারি কলেজের প্রভাষক পদে সুপারিশ করা হয়েছে।