৫ গোল করে গোলকিপারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন হলান্ড

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইউরোপীয় অঞ্চলের ‘আই’ গ্রুপে মঙ্গলবার রাতে এক অভাবনীয় গোল উৎসবে মেতে উঠেছিল নরওয়ে। ঘরের মাঠ অসলোর উলেভাল স্টেডিয়ামে মলদোভাকে ১১–১ গোলে বিধ্বস্ত করে তারা। নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে এটিই মলদোভার সবচেয়ে বড় পরাজয়।

১১ গোল হজমের যন্ত্রণা কতখানি, মঙ্গলবার রাতে গোলকিপার আভরাম তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন। তাকে ফাঁকি দিয়ে একের পর এক বল জালে জড়াচ্ছিল, আর তিনি হতাশায় মাঠে বসে পড়ছিলেন। দুঃস্বপ্নের রাতে গোলকিপার আভরামকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন আর্লিং হলান্ড। ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজীয় স্ট্রাইকার একাই করেছেন ৫ গোল। দলের জয়ে একাই ৫ গোল করেন আর্লিং হলান্ড। এর মধ্য দিয়ে লিওনেল মেসির কীর্তিতে ভাগ বসিয়েছেন হলান্ড। বর্তমানে শুধু এই দুই ফুটবলারেরই ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে এক ম্যাচে ৫ গোল করার রেকর্ড আছে।

হলান্ডের জন্য রাতটা মধুর হলেও আভরামের কষ্টটা তিনি ঠিকই অনুভব করেছেন। হয়তো সে কারণেই ম্যাচ শেষ হতেই মলদোভার ৩১ বছর বয়সী এই গোলকিপারের কাছে গিয়ে তাঁকে সান্ত্বনা দিয়েছেন, এমনকি তাঁর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। আভরাম নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।

নরওয়ের টেলিভিশন চ্যানেল টিভি২ ডিরেক্টেকে আভরাম শুরুতে মজা করে বলেছেন, ‘হ্যালো, আমিই মলদোভার সেই গোলকিপার, যে ১১ গোল হজম করেছে।’ 

এরপর তিনি বলেন, ‘আর্লিংয়ের (হলান্ডের) সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সে বলেছে, গোলগুলো খাওয়ায় আমার দায় নেই। এমনকি সে ক্ষমাও চেয়েছে। সে আমাকে বুঝিয়ে বলেছে, (অন্য দলের সঙ্গে) ব্যবধান বাড়াতেই সে গোল করা থামায়নি, যা (পরবর্তী সময়ে) গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। সে শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে চেয়েছে। এটা খেলারই অংশ।’  

১১ গোল খাওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে আভরাম বলেছেন, ‘কী আর বলার আছে? মাঠে মরে তো যাইনি। আমাকে শক্তিশালী হতে হবে। পরের ম্যাচের আগে খুব বেশি সময় নেই। তবে হ্যাঁ, ১১ গোল অনেক বেশি হয়ে গেছে।’

Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

উপরে