উচ্চশিক্ষায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সরকারি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ করার নীতিমালা-২০২৩-এর গেজেট প্রকাশ করেছিল সরকার গেল বছরে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যুগোপযোগী ও অভিজ্ঞ মানবসম্পদ সৃষ্টি, পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের সঙ্গে কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতার সমন্বয় ঘটানোর সুযোগ রেখে ইন্টার্নশিপ নীতিমালার গেজেট প্রকাশ করা হয়। ইন্টার্নদের নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাতা ও ছুটির সুযোগ রেখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জারি করে সেই প্রজ্ঞাপন। সেখানে ইন্টার্নদের জন্য বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে।
স্নাতক, স্নাতকোত্তর অথবা সমমানের ডিগ্রি অর্জনের দুই বছরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। একজন প্রার্থী একবারই সরকারি অফিসে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পাবেন।
সেই অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৩ মাস মেয়াদে ১০ জনকে ইন্টার্নশিপ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ইন্টার্নশিপের সময় প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। ১৫ মার্চের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ইন্টার্নশিপে অংশ নিতে আবেদন করতে হবে।
সফলভাবে কোর্স সম্পন্ন করতে পারলে ইন্টার্নরা পাবেন সনদ। তবে এ সনদ কোনো প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী, অস্থায়ী কিংবা অন্য কোনো চাকরির ক্ষেত্রে প্রাধিকার কিংবা অগ্রাধিকার হিসাবে গণ্য হবে না।
ইন্টার্নশিপের বিষয়—
রাষ্ট্রবিজ্ঞান, লোকপ্রশাসন, সরকার, জননীতি, অর্থনীতি, ব্যবসা প্রশাসন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও উন্নয়ন, সমাজকর্ম, সমাজবিজ্ঞান ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। এ কোর্সের অংশ হিসেবে ডিজিটাল রেকর্ড ব্যবস্থাপনাও থাকছে। যাঁরা রাষ্ট্রবিজ্ঞান, লোকপ্রশাসন, সরকার, জননীতি, অর্থনীতি, ব্যবসা প্রশাসন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও উন্নয়ন, সমাজকর্ম, সমাজবিজ্ঞান ও অন্যান্য বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেছেন, তাঁরা ইন্টার্নশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ইন্টার্নশিপ নীতিমালা ২০২৩–এর অধীনে একজন প্রার্থী শুধু একবার ইন্টার্নশিপ করতে পারবেন। কেউ কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকা অবস্থায় ইন্টার্নশিপ করতে চাইলে কর্তৃপক্ষের অনাপত্তিপত্র জমা দিতে হবে। নির্বাচিত প্রার্থীকে একটি ঘোষণাপত্র ও চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে। প্রত্যেক ইন্টার্নের জন্য একজন সুপারভাইজার থাকবেন এবং তাঁর অধীনে এ কোর্স সম্পন্ন করতে হবে।