রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গানের দল ক্যাম্পাস বাউলিয়ানার গানের আড্ডায় ফরহাদ আলী নামের এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বর্তমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন প্রাক্তন ওই শিক্ষার্থী। পরে প্রক্টর দপ্তরে ভবিষ্যতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করার শর্তে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি।
অভিযুক্ত রুহুল কুদ্দুস মীর ফরহাদ আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। তাঁর বাড়ি চুয়াডাঙ্গা। অন্যদিকে গানের দল ক্যাম্পাস বাউলিয়ানার সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রক্টর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে ক্যাম্পাস বাউলিয়ানা দলের কয়েকজন সদস্য গান গাচ্ছিলেন। কিছুটা দূরে প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফরহাদ আলীসহ কয়েকজন একসঙ্গে বসে গল্প করছিলেন। একপর্যায়ে ফরহাদ গানের আসরে এসে গান গাইতে নিষেধ করেন এবং আগের জায়গায় ফিরে যান। কিন্তু শিক্ষার্থীরা গান বন্ধ না করলে আবার এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন ফরহাদ। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরাও উত্তেজিত হয়ে যান। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর পুরনজিত মহলদার ঘটনাস্থলে আসেন এবং সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু এর মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ আল হাসান সেখানে উপস্থিত হন এবং প্রাক্তন ওই শিক্ষার্থীকে ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে মারতে উদ্যত হন। এতে সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক ও জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে এসে ফরহাদকে প্রক্টর দপ্তরে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে ক্যাম্পাস বাউলিয়ানার সদস্য কে এস কে হৃদয় বলেন, পরিবহন মার্কেটে থাকা অনেক মানুষ গান উপভোগ করছিলেন। তিনি (ফরহাদ) এসে গান গাইতে নিষেধ করেন। কিন্তু তাঁরা গান গাইতে থাকলে তিনি (ফরহাদ) তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তিনি তাঁদের সংস্কৃতিচর্চায় বাধা দিতে পারেন না। তাই প্রতিবাদ করেছিলেন তাঁরা।
প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, ‘প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফরহাদ তাঁর কাজে অনুতপ্ত হয়েছেন। আমরা তাঁর কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। তিনি ভবিষ্যতে আর ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবেন না।’