যে ভুলে টিকিট কেটেও ট্রেনে সিট পেলাম না, বিষয়টি আপনারও জানা ভালো

সিলেটে গিয়েছিলাম দাপ্তরিক কাজে। কাজ শেষে ঢাকায় ফেরার দিন-তারিখ নিশ্চিতই ছিল। তাই যাওয়ার দিনই অনলাইনে ফেরার টিকিট কেটে ফেলার চেষ্টা করি। কিন্তু ১১ ফেব্রুয়ারি সিলেট রেলস্টেশন থেকে উপবন এক্সপ্রেসের কোনো সিট খালি নেই। সিলেটের পরের স্টেশন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া। সার্চ করে দেখি সেখান থেকে সিট ফাঁকা আছে। সিলেট থেকে এই স্টেশনের দূরত্ব বেশি না। পথটুকু দাঁড়িয়েই যাওয়া যাবে, ভেবে কুলাউড়া জংশন স্টেশন থেকে টিকিট কেটে ফেলি।

যথাসময়েই চলে আসি স্টেশনে। মিনিট পাঁচেক বিলম্বে রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে প্ল্যাটফর্ম ছাড়ে উপবন এক্সপ্রেস। শুরুর স্টেশন বলেই হয়তো বগিতে জটলা অপেক্ষাকৃত কম। কুলাউড়া থেকে যে সিটে বসে আমার ঢাকা যাওয়ার কথা, সেই সিট ফাঁকাই পড়ে আছে। সেটাতে গিয়ে বসে পড়ি।

রাত পৌনে একটায় কুলাউড়া স্টেশনে পৌঁছানোর কথা। সারা দিনের ক্লান্তি নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ট্রেন প্ল্যাটফর্মে দাঁড়াতেই ঘুম উধাও। এই স্টেশনে বেশ অনেক যাত্রীর চাপ। বগিতে মানুষ মালসামান নিয়ে উঠে পড়েই গোছগাছ করতে শুরু করল। এরই মধ্যে এক ভদ্রলোক এসে বিনীতভাবে আমাকে আসন ছাড়ে দিতে বলল। ঘুমজড়ানো চোখে ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম। ধাতস্থ হয়ে অনলাইন টিকিট দেখিয়ে বললাম, এই যে দেখুন সিটটা আমার।

তিনিও টিকিট দেখালেন, দাবি করলেন সিটটা তাঁরই।

তাহলে কী এমন ঘটনা ঘটল যে এক সিটের দুই টিকিট! খোলসা করি বিষয়টি। প্রথমত, আমি সিলেট স্টেশন থেকে ১১ ফেব্রুয়ারির রাতের উপবন এক্সপ্রেসের টিকিট খুঁজেছি। সেটা না পেয়ে কুলাউড়ার টিকিট বুকিং দিয়েছি। সিলেট থেকে যে ট্রেন ১১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টায় ছেড়ে যায়, সোয়া ঘণ্টা পর সেটা কুলাউড়া জংশন স্টেশনে পৌঁছায়। অর্থাৎ ততক্ষণে নতুন এক দিন শুরু হয়েছে। আমাকে টিকিটটি কাটতে হতো ১২ ফেব্রুয়ারির। আর এখানেই গোলমাল।

সেদিন নিজের বোকামো বুঝতে পেরে কাঁচুমাচু ভঙ্গিতে সিট ছেড়ে উঠে পড়ি। তারপর ঢাকায় কীভাবে এলাম? সে তো আরেক গল্প।

Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

উপরে