সিলেটে জনজীবন বিপর্যস্ত : নারায়ণগঞ্জে দুর্ভোগে নিম্নাঞ্চলের মানুষ
রোববার ১ জুন ২০২৫
ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। গতকাল সকাল থেকেই থেমে থেমে দেশের অনেক স্থানে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। কোথাও কোথাও এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় ব্যস্ত সড়ক। এর মধ্যে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের নদীগুলোতে পাহাড়ি ঢলের আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ থেকে আগামী দুই দিন সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও মৌলভীবাজার জেলায় বন্যার ঝুঁকি আছে বলে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে সতর্ক করা হয়েছে। অন্য দিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বর্ষণ আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন কানাডাপ্রবাসী আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর বন্যার পূর্বাভাস না দিলেও আগামী দুই দিন দেশে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে।
জানা গেছে, বানের পানির তাণ্ডবে শনিবার সিলেট নগরীর ২০ লাখ বাসিন্দার জীবনযাপন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তলিয়ে গেছে সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাটসহ বিস্তীর্ণ জনপদ। অন্য দিকে ভারী বর্ষণে নারায়ণগঞ্জের ডিএনডি এলাকাসহ নিচু এলাকাগুলোতে পানিবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
ভারী বর্ষণে যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রধান রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানের মানুষকে নৌকা দিয়ে পারাপার করতে হয়েছে। রাজধানী ঢাকার রাস্তায় এই বৃষ্টির মধ্যে অসংখ্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কার এমনকি মোটরসাইকেল বন্ধ হয়ে যেতে দেখা গেছে। বিরূপ পরিস্থিতিতে গাড়ি কমে যাওয়ায় বরাবরের মতো সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘœ ঘটে। অনেক মানুষকে দেখা গেছে পানির মধ্যে দিয়ে হেঁটে হেঁটে গন্তব্যে যেতে। সন্ধ্যার পর সাময়িক সময়ের জন্য বৃষ্টি কিছুটা কমে এলেও পরে আবারো শুরু হয়।
এ দিকে সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের ওপর ভারী বর্ষণের কারণে পানি এই তিন বিভাগের প্রধান নদীগুলো দিয়ে নেমে আসায় এই তিন বিভাগে প্রবাহিত প্রধান নদীর পানি আগামী চার-পাঁচ দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভারী বৃষ্টি যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরভাগে হচ্ছে তা নয়, ভারতের পাহাড়ি অঞ্চলেও প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। ওই সব এলাকা থেকেও আগামী কয়েক দিন পানি নামতে থাকবে। ফলে পদ্মা-গঙ্গা ছাড়া বাংলাদেশের প্রধান কয়েকটি নদীর পানি আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র গতকাল জানিয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, ধলাই, সুমেশ্বরী ও মনু নদীর পানি আগামী দুই দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এই নদীগুলোর পানি সমতল অবস্থা পেরিয়ে এই সময়ের মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এ সময়ের মধ্যে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও মৌলভীবাজার জেলার নদীগুলোর সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। অন্য দিকে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানিও আগামী দুই দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী তিন দিন বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সাগর থেকে ওঠে আসা নিম্নচাপ স্থলভাবে এসে দুর্বল হয়ে বৃষ্টি ঝরাচ্ছে। এ ছাড়া চলতি বছর মৌসুমি বায়ু নির্ধারিত সময়ের আগে চলে আসায় জুন মাস শুরু না হতেই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। স্বাভাবিক সময়ে মৌসুমি বায়ু জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের টেকনাফ উপকূল ছুঁয়ে থাকে। পুরো বাংলাদেশে জলীয় বাষ্পপূর্ণ এই বায়ু পৌঁছে যেতে জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত লাগে। কিন্তু এ বছর আগেভাগে চলে আসায় আবহাওয়াবিদরা বাংলাদেশের ওপর চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখছেন। অভ্যন্তরভাগের বৃষ্টির পানি এবং উজান থেকে ধেয়ে আসা ঢলের পানিতে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির ঝুঁকি একটু বেশি হতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুসারে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ সিলেটে ২০২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা শহরে বৃষ্টি হয়েছে ৩১ মিলিমিটার এবং চট্টগ্রাম শহরে ৮২ মিলিমিটার বৃষ্টির কথা জানানো হয়েছে।
গতকালের ভারী ও বিরামহীন বৃষ্টি দেখে ছোট বেলায় মুখস্থ করা কবিতার লাইন স্মরণ করেছেন বয়স্ক অনেকেই। ঢাকার বাসে যেতে যেতে গতকাল এক প্রবীণ ব্যক্তি তার নাতিকে বলছিলেন ‘গুরু গুরু ডাকে দেয়া/ফুটেছে কদম কেয়া/ময়ুর পেখম তুলে সুখে তান ধরেছে, বর্ষার ঝর ঝর সারাদিন ঝরছে’। ‘নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহিরে/ওগো আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে।’ তিনি বেশ জোরে জোরে বলতে লাগলেন, এমন বর্ষায় আমরা ছোটবেলায় বৃষ্টির কবিতা আওড়াতাম। আজ আবার সেই বর্ষা দেখতে পেলাম।
সিলেট নগরীতে জনজীবন বিপর্যস্ত
সিলেটে বানের পানির তাণ্ডবে গতকাল শনিবার সিলেট নগরীর ২০ লাখ বাসিন্দার জীবনযাপন তছনছ হয়ে পড়েছে। বন্যায় তলিয়ে গেছে জেলার সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানিগঞ্জ, কানাইঘাটসহ বিস্তীর্ণ জনপদ। গত ৬০ ঘণ্টায় সিলেটে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫১১ মিলিমিটার। আর সিলেটের উজানে বিশ্বের সবচেয়ে বৃষ্টিবহুল এলাকা চেরাপুঞ্জিতে গত ৬০ ঘণ্টায় সিলেটের তিনগুণ বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে গত ৬০ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৩০০ মিলিমিটারের মতো। সিলেটের ঠিক উজানে মেঘালয়, আসাম ও ত্রিপুরায় গত ৫ দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি নামছে। এ বছর ভারতের বাধার কারণে সিলেটের সুরমা কুশিয়ারা বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধে কাজ করতে না পারায় বড় বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের তোড়ে সিলেট নগরীর রাস্তাঘাট, ছোট বড় সড়ক আর শত শত বাসা বাড়ি ডুবে গেছে। শনিবার দুপুর ১টা থেকে হঠাৎ বদলে যায় সিলেট নগরীর চিত্র। পানিতে নিমজ্জিত সিলেট এয়ারপোর্ট সড়ক, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে দুপুর থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নগরের বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ায় লাখ লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। শত শত বাসাবাড়ির নিচতলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বাসিন্দারা এক লন্ডভন্ড অবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন। আসবাবপত্র, বেড বিছানাসহ সব কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। শহরের অপেক্ষাকৃত নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ায় এসব এলাকার লোকজন বেশি ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
এ দিকে বানের পানিতে সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানিগঞ্জ, কানাইঘাটের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল ও যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এসব উপজেলার শত শত বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে।
জলাবদ্ধতা সিলেট নগরীবাসীর জীবনে এখন ফি বছর নিয়তি হয়ে দেখা দিয়েছে। কয়েক ঘণ্টার ভারী বর্ষণেই নগরী ডুবে যায়। এ সময় উজানের পাহাড়ি ঢল নামায় পরিস্থিতি হয়ে যায় ভয়াবহ। শনিবার দুপুরে ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত মাত্র তিন ঘণ্টায় সিলেট আবহাওয়া অধিদফতরে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে ১৫৬ মিলিমিটার। যা সাম্প্রতিককালে একটি রেকর্ড।
দেশের অন্যতম প্রধান নদীর সুরমা দুই তীরে গড়ে উঠা এই প্রাচীন নগরীর পানি প্রবাহ এককালে ছিল সচল। কিন্তু সাম্প্রতিককালে সুরমা নদী এবং নগরীর খাল, নালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানিপ্রবাহ রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিবহুল সিলেট নগরীতে ভারী বৃষ্টিপাত হলেই ডুবে যাচ্ছে নগরীর রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, মাঠঘাট। একসময় নগরীর জলাবদ্ধতা সহনীয় হলেও গত ২০১৮ সাল থেকে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যা ও জলাবদ্ধতায় ডুবে যায় গোটা সিলেট শহর। ২৫০ বছরের ইতিহাসে সে বছরের বন্যা ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। এখন নিত্য বছর জলাবদ্ধতা এক ধরনের নিয়তিতে পরিণত হয়েছে। হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরও ডুবছে কেন সিলেট শহর এমন প্রশ্ন এখন সিলেট নগরীর সচেতন বাসিন্দাদের।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানিয়েছে, জলাবদ্ধতা নিরসনে গত ১৪ বছরে ১ হাজার ৭৮ কোটি টাকার কাজ করেছে সিটি করপোরেশন। এর বাইরে চলতি বছর তিনটি ড্রেন নির্মাণে ব্যয় হয় সাড়ে ৫ কোটি টাকা। পাশাপাশি আরো ৫০ কোটি টাকার কাজ চলছে। সম্প্রতি আরো কয়েকটি প্রকল্প অনুমোদন লাভ করেছে। এ ছাড়া পাউবো সুরমা নদীর নগর অংশ খননে খরচ করেছে ৫০ কোটি টাকা। সিলেট নগরে বন্যা ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি দেখা দিলে নগরবাসী দুর্ভোগের শেষ থাকে না।
সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান নয়া দিগন্তকে শনিবার দুপুরে জানান, জলাবদ্ধতা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পেতে সুরমা নদী খনন ও শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা জরুরি। তিনি জানান, নগরবাসীকে বন্যা ও জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষার জন্য সিসিক একটা মেগা প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল, ডিএনডি এলাকায় দুর্ভোগ
টানা ভারী বর্ষণে নারায়ণগঞ্জের ডিএনডি এলাকার অলিগলিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষের। বিশেষ করে ডিএনডির নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। যাতায়াতের রাস্তাঘাট সবই পানির নিচে তলিয়ে আছে। অসহনীয় দুর্ভোগ ও ভোগান্তি থেকে রক্ষা না পাওয়ায় এলাকাবাসীদের মনে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর মাসদাইর, গলাচিপা, কলেজ রোড, আমলাপাড়া, কালির বাজার, উকিলপাড়া, নন্দীপাড়া, ডন চেম্বার, টানবাজার, মীনা বাজার, নিতাইগঞ্জ, দেওভোগ, ভূইয়ারবাগ, ফতুল্লার লালপুর, মাসদাইর, গাবতলি, ইসদাইর, সস্তাপুর, কুতুবরপুর, দেলপাড়া ভুইগড়, নন্দলালপুর, নয়ামাটি, নুরবাগসহ বেশ কিছু এলাকার অলিগলিতে গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণের পানি জমে আছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই জলাবদ্ধতার কারণে তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে নিচু এলাকার বাসা-বাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়ায় ভোগান্তি চরমে। ভারী বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা এখন জটিল আকার ধারণ করেছে। লালপুর এলাকার স্থানীয়রা বলেন, ‘আমরা এখন পানির মধ্যে কারাবাসে আছি। মানুষ অপরাধ করলে কারাগারে বন্দী থাকে, কিন্তু আমাদের কী অপরাধ? কী কারণে আমাদের প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এভাবে কারাগারে থাকতে হয়।
নারায়ণগঞ্জে প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে ফতুল্লার ডিএনডি বাঁধ এলাকায় জলাবদ্ধতায় পানিবন্দী হয়ে পড়েন প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমে দুর্ভোগ কমাতে নানান উদ্যোগের কথা বলা হলেও এর কোনো স্থায়ী সমাধান পাননি স্থানীয়রা। অপরিকল্পিত বসতি, কল-কারখানা স্থাপন আর পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা ফতুল্লার ডিএনডিবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ। অল্প বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় ডিএনডির নি¤œ এলাকাগুলো। আর জলাবদ্ধতার কারণে এ এলাকায় বাড়ছে ডেঙ্গুসহ অন্যান্য পানিবাহিত রোগ। ফলে এর স্থায়ী সমাধান চান এ অঞ্চলের বাসিন্দারা। ডিএনডির জলাবদ্ধতার স্থায়ী নিরসনে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পে আদৌ কি সমাধান হবে বা হলেও কতদিনে- এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন বাসিন্দারা।